পাখির রাজ্য রাজবাড়ীর শিবরামপুর, সকাল-সন্ধ্যা কিচিরমিচিরে মুখর চারদিক
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের অজিত কুমার করের বাড়ির পুকুরপাড়ের বাগান এখন হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত। প্রকৃতির এই মনোমুগ্ধকর মেলা দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত উৎসুক জনতা। পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ আর ডানার ঝাপটায় যেন আনন্দের নতুন রঙে সেজেছে পুরো গ্রাম।
সরেজমিনে দেখা যায়, করবাড়ির পুকুরপাড়ে নারকেল, সুপারি ও বিভিন্ন গাছে বাসা বেঁধেছে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। এক ডাল থেকে অন্য ডালে তাদের অবাধ বিচরণ, কিচিরমিচির শব্দ আর সারাক্ষণ উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য মন ভরিয়ে তুলছে সবার। দর্শনার্থীরা কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন – গ্রামজুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। পুকুরপাড়ে পড়ে থাকা ডিমের খোসা জানান দিচ্ছে, এটি শুধু আশ্রয়স্থলই নয়, পাখিদের প্রজননেরও এক নিরাপদ স্থান হয়ে উঠেছে।
বানীবহের মাধবতলা গ্রামের নাসরিন বেগম বলেন, ‘শুনেছিলাম করবাড়িতে অনেক পাখি এসেছে, তাই মেয়ে-ছেলে, নাতি-নাতনিদের নিয়ে দেখতে এলাম। এত পাখি একসাথে আগে কখনো দেখিনি, সত্যি মন ভরে গেল।’
বানীবহের মাধবতলা গ্রামের নাসরিন বেগম বলেন, “শুনেছিলাম করবাড়িতে অনেক পাখি এসেছে, তাই মেয়ে-ছেলে, নাতি-নাতনিদের নিয়ে দেখতে এলাম। এত পাখি একসাথে দেখিনি কখনো, সত্যি মন ভরে যাচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিদিনই শত শত মানুষ আসে পাখি দেখতে। অনেকে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়, সেখান থেকে আরও মানুষ আসে। আগে কিছু বাচ্চা পাখি মারার চেষ্টা করেছিল, এখন সবাই সচেতন হয়েছে। এই পাখিগুলোর জন্য আমাদের গ্রামটা এখন আরও সুন্দর।’
করবাড়ির সদস্য আকাশ কর বলেন, ‘এলাকাটা শান্ত-নিরিবিলি হওয়ায় পাখিগুলো এখানে বাসা বেঁধেছে। গত বছর অল্প পাখি এসেছিল, এবার সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙে তাদের কিচিরমিচির শব্দে—এ এক অনন্য অনুভূতি।’
রাজবাড়ী সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর সায়েদুর রহমান বলেন, ‘অতিথি পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমরা ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পাখিগুলোকে যেন কেউ ভয়ভীতি বা ক্ষতি করতে না পারে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’




Comments