রংপুরের মিঠাপুকুরে শ্বশুরবাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আব্দুল ওয়াজেদ (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) ভোরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ওয়াজেদ পীরগঞ্জ উপজেলার বড়দরগা ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের মো. মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে তিনি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামের মো. রঞ্জু মিয়ার প্রতিবন্ধী মেয়ে মোছা. রজনি বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন এবং শ্বশুরের কসাই ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর ওয়াজেদ ও তার স্ত্রী ঘুমাতে যান। রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে রজনি বেগম প্রকৃতির ডাকে বাইরে গেলে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। ডাকাডাকি করেও দরজা না খোলায় তিনি কান্নাকাটি শুরু করেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ডেকে আনেন। জানালা দিয়ে উঁকি মেরে দেখা যায়, ওয়াজেদ ঘরের ধরনার সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ঝুলে আছেন। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ওয়াজেদ মাদকাসক্ত ছিলেন এবং প্রায়ই স্ত্রীর কাছে মাদকের জন্য টাকা চাইতেন। প্রতিবন্ধী স্ত্রীর কারণে পারিবারিক অশান্তি থাকায় তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।




Comments