বিরলে বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও সমিতি ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি
দিনাজপুরের বিরলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিলন এবং ২নং ফরক্কাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি ও সমিতি ভেঙে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ করেছেন সমিতির নেতারা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে বিএনপির এই দুই নেতা বিরল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফরিদুল ইসলামকে সভাপতির পদ পরিবর্তনের জন্য হুমকি দেন। তারা বলেন, যদি সভাপতি পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে, অন্যথায় দলীয় ছেলেদের দিয়ে সমিতির সকল কার্যক্রম ভেঙে দেওয়া হবে।
ঘটনার পরপরই সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিরল বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদকে বিষয়টি জানান। অভিযোগকারী সূত্রে জানা যায়, সেখানেই চাঁদাবাজ মোশারফ হোসেনকে মোবাইলে ফোন করা হলে, তা লাউডস্পিকারে দিয়ে উপস্থিত সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদসহ অন্যান্য নেতাদের শোনানো হয়, যেখানে হুমকির বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপির দুই নেতা মিজানুর রহমান মিলন ও মোঃ মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মো. মোমিনুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, "প্রাথমিকভাবে বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের উচ্চ পদে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সমিতির পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তিনি আরও বলেন, "এভাবে দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজরা চাঁদা আদায় করে। আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, এই চাঁদাবাজদের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।"
এই ঘটনা বিরল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।




Comments