২৩ বিঘা জমির ফসলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় ২৩ বিঘা কৃষিজমির ফসলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে মো: মান্নান ফকিরের (৫০) বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১৯ নভেম্বর) উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জামতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
অভিযুক্ত মান্নান ওই ইউনিয়নের জরিপের ডাঙ্গী গ্রামের গুঞ্জর ফকিরের ছেলে।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা সদরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল ভস্মীভূত। কালোজিরা, মাসকালাই, মুসুরসহ সব মৌসুমি ফসল পুড়ে ছাই হয়ে পড়ে আছে। এক নজরে বোঝা যাচ্ছিল—অগ্নিকাণ্ডে কৃষকদের পরিশ্রমের পুরো মৌসুমের ফল নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগী কৃষক কামাল হোসেন (৩৬) জানান, তিনি ও তাঁর প্রতিবেশী—শেখ হাফেজ, সোহরাব, জামাল তালুকদারসহ কয়েকজন মোট ২৩ বিঘা জমিতে বিভিন্ন মৌসুমি ফসল চাষ করে আসছিলেন। প্রতিবেশী মোঃ মান্নান ফকির (৫০) বেশ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই জমিতে থাকা ফসলে আগুন ধরিয়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং সব ফসল পুড়ে যায়।
আরেক কৃষক শেখ হাফেজ জানান, ফসলে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর পরই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। তবে ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকায় এ ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। তিনি দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ফসল পুড়ানোর বিষয়ে অভিযুক্ত মো: মান্নান ফকিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় জানান , আমি অভিযোগটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




Comments