জামালপুর জেলা কারাগারে থুথু ফেলাকে কেন্দ্র করে সহবন্দির আঘাতে আহত হাজতি ‘পাগলা হযরত’ মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কারা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কারাগারের ভেতরে কাশি ও থুথু ফেলা নিয়ে হাজতি হযরতের সঙ্গে আরেক হাজতি রহিদুর মিয়ার বাদানুবাদ শুরু হয়। তর্কের একপর্যায়ে রহিদুর শৌচাগারের দরজার একটি কাঠের টুকরো খুলে হযরতের মাথায় পরপর বেশ কয়েকবার আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পরপরই কারারক্ষী ও অন্য হাজতিরা হযরতকে উদ্ধার করে প্রথমে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান।
নিহত পাগলা হযরত (২৫) জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারি গ্রামের মো. ইমান হোসেনের ছেলে। তিনি বকশীগঞ্জ থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামি ছিলেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত হামলাকারী হাজতি মো. রহিদুর মিয়া (৪০) বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর বালুরগাঁও গ্রামের মৃত ছামিউল হকের ছেলে।
জামালপুর জেলা কারাগারের জেলার লিপি রানী সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মারা যাওয়া হযরতের মরদেহ বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে রয়েছে। ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। অভিযুক্ত রহিদুর মিয়া বর্তমানে কারাগারেই আটক রয়েছেন।




Comments