কুড়িগ্রামে দিনদিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। জেলা জুড়ে বইছে হিমেল হাওয়া, বাড়ছে কুয়াশার ঘনত্ব। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশাও। ফলে শীতে জবুথবু অবস্থা এই জনপদের। শীতকালীন আলু, টমেটো, শশাসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ঘন কুয়াশার কারণে ক্ষতি সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের রোদ সামান্য সন্ধ্যার পর নেমে আসে কনকনে ঠান্ডা। মধ্যরাতের পর হিমেল হাওয়ার তীব্রতা আরও বাড়ে।
শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষ। ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। ০৬ডিসেম্বর ভোর ৬টায় রাজারহাট আবহাওয়া কার্যালয় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১৩ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনে কুয়াশা ও শীত আরও জোরদার হতে পারে। শীতের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
নাগেশ্বরীর কেদার ইউনিয়নের চর বিষ্ণুপুর এলাকার প্রান্তিক কৃষক মজনু মিয়া, শহিদুল ইসলাম বলেন, আমন ধান কর্তন শেষ হয়েছে। তীব্র ঠান্ডায় সিদ্ধ ধান ঢুকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
হাশেমবাজার এলাকার শামসুল হক বলেন, সকালে রিকশা নিয়ে বের হলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। কিন্তু রিকশা চালাতে হবে এজন্য বাড়ি বের হয়ে আসছি।
বানুরখামার এলাকার ঠেলাচালক ইসমাইল আলী জানান, সকালে ঠেলাগাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। ভালো পাওয়া যায় না। শীত এভাবে বাড়তে থাকলে বের হওয়া যাবে না। অনাহারে থাকতে হবে।
হাশেমবাজার এলাকার কৃষক মঞ্জুল হক জানান, শীতকালে আলু, টমেটো, শশাসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু সকালে শীতের কারণে ফলের অবস্থা ভালো না।
রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, কুড়িগ্রামে সামনে আরও শীত ও কুয়াশা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিদিনই কুয়াশার ঘনত্ব বাড়ছে। সামনে শীত ও কুয়াশা আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি জানান, শনিবার ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।




Comments