দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য সবার আগে কৃষির উন্নয়ন প্রয়োজন, এরপর শিল্প উন্নয়ন এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তই টেকসই ধান উৎপাদনের উজ্জ্বল দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আয়োজিত ‘আবহাওয়ার পূর্বাভাস-ভিত্তিক কৃষি পরামর্শ প্রচারে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
গাজীপুরে ব্রি’র ট্রেনিং কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে দিনব্যাপী এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ব্রি মহাপরিচালক জানান, প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে ৩৬টি জাত জলবায়ু সহিষ্ণু, যা লবণাক্ততা, খরা, জলাবদ্ধতা ও ঝড় মোকাবিলার সক্ষমতা রাখে। এছাড়া ব্রি উদ্ভাবিত ২২টি ধানের জাত ইতোমধ্যে বিদেশে চাষাবাদের অনুমোদন পেয়েছে, যা দেশের কৃষি গবেষণার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
ব্রি’র পরিচালক (গবেষণা) ও ল্যাবরেটরি চিফ ড. মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মুন্নুজান খানম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এগ্রোমেট ল্যাবের কো-অর্ডিনেটর ড. এ বি এম জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রি’র ঊর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমিন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই সময়ে কৃষকদের কাছে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে গণমাধ্যম সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। কৃষকদের সরাসরি সেবা দিতে ব্রি কলসেন্টার (০৯৬ ৪৪৩ ০০৩০০) চালু করেছে, যেখানে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও এনটিভির নাসির আহমেদ, ইত্তেফাকের মুজিবুর রহমান, জনকণ্ঠের মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, কালের কণ্ঠের শামীম আহমেদ, দিনকালের দেলোয়ার হোসেন, সংগ্রামের মো. রেজাউল বারী বাবুল, দেশ রূপান্তরের মো. আমিনুল ইসলাম, প্রথম আলোর মো. মাসুদ রানা, প্রতিদিনের সংবাদের হাসমত আলী, নয়া দিগন্তের শেখ মো. আজিজুল হক ও ডিবিসি নিউজের মাহমুদা শিকদার প্রমুখ।




Comments