Image description

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ফুলকপি চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা অল্প সময়ে অধিক লাভের জন্য অনেকেই করেছেন ফুলকপি চাষ। বর্তমান বাজারে ফুলকপির ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। 

জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন বিভিন্ন সবজিতে মাঠ ভরে গেছে। এবছর ব্যপকভাবে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। বিশেষ করে ফুলকপি চাষ উল্লেখযোগ্য হরে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন চাষিরা জমি থেকে ফুলকপি নিয়ে বাজারজাত করছেন। তাদের উৎপাদিত ফুলকপি ট্রাক বোঝাই করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এবছরে ফুলকপির বাম্পার ফলন ও ন্যায্য দাম পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চাষিরা। কেউ অল্প অল্প করে ফুলকপি বাজারে বিক্রি করছেন। কেউ আবার চুক্তিভিত্তিতে ব্যাপারীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অনেকেই সাথী ফসল হিসেবে ফুল কপি চাষ করে বাড়তি আয়ের সুবিধা পাচ্ছেন। 

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলকপি পাইকারি ১ হাজার ২শ' টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি।
 
জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের ফুলকপি চাষি শামিম হোসাইন বলেন, গতবছর সাফল্য পাওয়ার পর এবারও ১ বিঘা জমিতে নিনজা জাতের ফুলকপি চাষ করেছি। সবকিছু মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। জমির সব ফুলকপি একবারে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। খরচ বাদে আড়াই মাসে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

হাসাদাহ গ্রামের মুনতাজ আলী নামের আরেক চাষি জানিয়েছেন, এবার কচু চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। কচু উঠিয়ে সেই জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে ফলন অনেক ভালো হয়েছে তাছাড়াও এবার ফুলকপির বাজারও অনেক ভালো। এখন বাজারে ফুলকপি পাইকারি ১১০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১শ' মণ কপি উৎপাদন হচ্ছে। এমন বাজার থাকলে লাভের মুখ দেখতে পারবো।

জীবননগর উপজেলার অনেক চাষি ফুল কপি চাষে লাভবান হওয়ার কথা জানিয়েছেন। মাত্র আড়াই মাসে ফুলকপি বিক্রি করে আবার অন্য ফসল চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রোগবালাই কম হওয়ার কারনে জীবননগর উপজেলার সকল শীতকালীন সবজি অনেক ভালো হয়েছে। ফুলকপি চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এবছরে জীবননগর উপজেলায় মোট ২৫৬ একর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। ফুলকপির ভালো দাম পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।