Image description

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েল সেখকে বিয়ের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাব হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় প্রেমিকার বড় বোন সম্পা খাতুন ও তার স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় প্রেমিকার বড় বোন গত ৯ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। যা তদন্ত করছে পুলিশ। তবে ছাত্রদল নেতা অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। জুয়েল সেখ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেদনগর বেপারীপাড়া মহল্লার মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই প্রেমিকা বলেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েল সেখের সঙ্গে প্রায় ১১ মাস আগে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে নিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ছাত্রদল নেতা জানায় সে দলীয় পদ পাওয়ার পরে বিয়ে করবে। কিন্তু গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলেজ শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠন হওয়ার পর সুকৌশলে আমার মোবাইল ফোন,  হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে থাকা দীর্ঘ ১১ মাসের বিভিন্ন চ্যাটিং, ছবি, ভিডিও ডিলেট করে দেয়। পরবর্তীতে আবারও বিয়ের কথা বললে সে তাকে বিয়ে করবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরই এক পর্যায়ে গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিয়ের দাবিতে ছাত্রদল নেতার বাড়িতে যান তিনি। কিন্তু ওই  পরিবারের লোকজন তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। একই সঙ্গে তারা হুমকি দেয় যে, পুনরায় এ বাড়িতে এলে জীবন শেষ করে দেয়া হবে। তার দাবি জুয়েল তাকে বিয়ে না করলে, তার আত্নহত্যা ছাড়া আর কোন পথ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রেমিকার বড় বোন অভিযোগ করে বলেন, জুয়েল আমার বোনের যে ক্ষতি করেছে, তার শাস্তি চাই। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু এখনও পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করেনি। আমি পুলিশ সুপারের কাছে জোড় দাবি জানায়
অভিযোগটি আমলে নিয়ে জুয়েলকে আইনের আওতায় আনা হোক। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমি ও আমার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে জুয়েল ও তার লোকজন। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েল সেখ বলেন, গত দুই মাস আগে এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একবার বৈঠক করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা প্রমাণিত হয়নি। ওই মেয়েটি তার ফেসবুকে আমার ছবিসহ বিভিন্ন ধরনের অশালীন কথা লিখে পোস্ট করেছিল। পরে আমি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছিলাম। মূলত আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুবাইদা খাতুন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রেমিক ও প্রেমিকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি ওসি স্যারকে লিখিতভাবে জানাবো। তারপর তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।