Image description

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি (ভিজে) সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি ছেলেদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অথচ ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে এই বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে এক বালিকা। সরকারি বালক বিদ্যালয়ে মেয়ে শিক্ষার্থীর নাম আসায় ভর্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ডিজিটাল লটারির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টার পর অনলাইনে ও বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির তৃতীয় শ্রেণির (দিবা শিফট) তালিকায় ৭১ নম্বর সিরিয়ালে নাম এসেছে ‘মিস জুলেখা খাতুন’ নামের এক শিক্ষার্থীর। বালক বিদ্যালয়ে বালিকার নাম আসার বিষয়টি জানাজানি হলে মুহূর্তেই তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।

কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রতি বছরই ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এমন অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে। এর আগেও ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তির তালিকায় ‘সাবিহা ইসলাম’ নামে এক বালিকার নাম এসেছিল। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়েও ছেলেদের নাম আসার নজির রয়েছে। ডিজিটাল লটারিতে বারবার এমন ভুল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। দ্রুত তদন্ত করে এসব ভুল সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

এদিকে লটারিতে নাম আসা ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং পরে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের আর পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জেসমিন আরা খাতুন বলেন, ‘আমি চাকরির পরীক্ষার ডিউটিতে আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’

সার্বিক বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু ভর্তি লটারি ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই বালক বিদ্যালয়ের তালিকায় যদি বালিকার নাম এসে থাকে, তবে তা ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই সংশোধন করতে হবে।’