রাঙ্গামাটিতে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধিতে বিজিবির শ্রদ্ধা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে শায়িত বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধিস্থলে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবির রাঙ্গামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আহসান হাবীব, পিএসসি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) একটি সুসজ্জিত দল ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এ সময় বিউগলের করুণ সুরে এক ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং উপস্থিত সবাই শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আহসান হাবীব বলেন, “১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ও অবিস্মরণীয় দিন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা লাল-সবুজের প্রিয় পতাকা পেয়েছি। আজকের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদকে, যাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পরাধীনতার শিকল ছিন্ন করে স্বাধীনতা পেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “বিজয় অর্জনে বিজিবির (তৎকালীন ইপিআর) অবদান অনস্বীকার্য। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি বাহিনীর দুই বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ ও শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফসহ খেতাবপ্রাপ্ত ও আত্মোৎসর্গকারী ৮১৭ জন বীর শহীদ সদস্যকে।”
এ সময় তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের বীরত্বগাথা তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল নানিয়ারচরের বুড়িঘাট এলাকায় চেংড়ী খালে প্রতিরক্ষা অবস্থানে থেকে তিনি একক সাহসিকতায় পাক বাহিনীর দুটি লঞ্চ ও একটি স্পিডবোট ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর প্রবল প্রতিরোধের মুখে শত্রুরা পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং তিনি মর্টারের গোলায় শহীদ হন।
অনুষ্ঠানে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল কাওসার মেহেদী (সিগন্যালস) সহ বিজিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




Comments