নবীনগরে গোলাগুলির ঘটনায় মূল শুটারসহ আরও ২ জন গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা সদরে প্রকাশ্যে গোলাগুলির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শুটারসহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি উপজেলার চিত্রি গ্রামের আইয়ুব মিয়া (৩৭) এবং দরি লাপাং গ্রামের আউলাদ হোসেন (২৬)। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আইয়ুব মিয়াই ঘটনার সময় পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়েছিলেন।
এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া অন্য ৫ জন হলেন- জসীম উদ্দিন বাছির (৫৫), আহসান উল্লাহ (৪৪), জুবায়েদ মুন্সি (২০), জাহিদ মিয়া (১৯) এবং আতাউর রহমান (৪৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক যুবককে ছুরিকাঘাতের ঘটনা মীমাংসার লক্ষে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সদরের কোর্ট রোডে কালীবাড়ির সামনে সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু বিচার শেষ হওয়ার আগেই দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় প্রকাশ্যে পিস্তল বের করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হলে রাব্বি (২২) নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ রাব্বির মা জোহরা খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) খুরশীদ আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “মামলা দায়েরের পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে সালিশের সর্দারসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। আজ মূল শুটার আইয়ুবসহ আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে আইয়ুবই পিস্তল দিয়ে গুলি করেছিলেন।”




Comments