Image description

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধিতে কাঁচাবাজারে বড় ধরণের স্বস্তি ফিরেছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম অর্ধেকেরও বেশি কমে আসায় হাসি ফুটেছে সাধারণ ক্রেতাদের মুখে। তীব্র শীতের কারণে সবজির ফলন ভালো হওয়া এবং বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকাকেই দাম কমার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন তাজা সবজিতে বাজার সয়লাব। দুই সপ্তাহ আগেও যে সবজির দাম আকাশছোঁয়া ছিল, তা এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি আকারভেদে ৫ থেকে ১০ টাকা এবং বাঁধাকপি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, শিম ১০-১৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা এবং গাজর ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মসলা ও আলুর বাজারেও দেখা গেছে নিম্নমুখী প্রবণতা। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় এর দাম কমে বর্তমানে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকায়। নতুন আলু ৩০ টাকা এবং পুরাতন আলু ১৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। লালশাক, পালংশাক ও ধনিয়া পাতার দামও এখন বেশ কম। তবে শশা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ ও পেঁপের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।

সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারেও কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। পুকুরে চাষ করা মাছের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তেলাপিয়া ও পোনা মাছ ১৪০-১৫০ টাকা এবং রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে দেশি মাছ ও পাঙ্গাশ মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতা মোসলেম আলী সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “কয়েকদিন আগেও বাজারে এসে ব্যাগ ভরে সবজি কেনা কঠিন ছিল। এখন ১০০ টাকার মধ্যেই পছন্দমতো অনেক সবজি কেনা যাচ্ছে।” সজিব হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজারে সবজির দাম অনেক কমেছে। অল্প টাকায় টাটকা সবজি কিনতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ দুটোই বেড়েছে। এ সময় সবজিতে রোগবালাই কম হয় বলে কৃষকরা ভালো ফলন পাচ্ছেন। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় আগামী কয়েক সপ্তাহ দাম এমন স্থিতিশীল থাকবে বলে তারা আশা প্রকাশ করছেন।