বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে তাঁর রাজনৈতিক দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়ায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রিয় নেত্রীর বিয়োগান্তক খবরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বগুড়া শহরের নবাববাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ভিড় জমান হাজারো নেতাকর্মী। কার্যালয়ে কালো পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং শোকের প্রতীক হিসেবে ভবনের সামনে কালো ব্যানার টানানো হয়। এ সময় অনেক নেতাকর্মীকে আবেগ সামলাতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
প্রিয় নেত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনায় দলীয় কার্যালয়ে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও আলেম-ওলামারা এতে অংশ নেন।
বগুড়ার উন্নয়নে বেগম খালেদা জিয়ার অবদানের কথা স্মরণ করে জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ‘বগুড়ার উন্নয়ন ইতিহাসে বেগম খালেদা জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামসহ জেলার বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা তাঁর উদ্যোগেই বাস্তবায়িত হয়েছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগ, বিমানবন্দরসহ বগুড়ার নানামুখী অবকাঠামোগত উন্নয়ন তাঁর নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে।’
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নেত্রীকে হারিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা আজ অভিভাবকহীন। এই শূন্যতা কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ বগুড়া সফরে এসে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করেছিলেন। পরদিন তিনি নীলফামারী জেলার একটি জনসভায় যোগ দেন। আজ প্রিয় নেত্রীকে হারানোর গভীর শোকে সেই স্মৃতিচারণ করে অশ্রুসিক্ত হচ্ছেন বগুড়াবাসী।
মানবকণ্ঠ/ডিআর




Comments