লক্ষ্যমাত্রা সংশোধনের নামে নতুন করে জনগণের কাঁধে ৫৫ হাজার কোটি টাকার করের বোঝা চাপাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঘাটতির মধ্যেই আদায়ের এই ভার পড়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর। দাতা সংস্থা আইএমএফের চাপে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্য সংশোধন যৌক্তিক হয়নি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল।
সাধারণত অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রথমবারের মতো লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। যার পুরোটা আদায় করতে হবে এনবিআরকে।
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম চার মাসেই দেশের রাজস্ব ঘাটতি ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করে আরও ৫৫ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে এনবিআরের ওপর। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা, যা বিদ্যমান লক্ষ্য থেকে প্রায় ১১ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে বিনিয়োগে মন্দাভাব, উন্নয়ন কর্মসূচির ধীরগতি-সহ নানা কারণে অর্থনীতি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। লক্ষ্য পূরণ করতে গেলে চাপ ব্যবসায়ীদের ওপরই বেশি পড়বে বলে মনে করেন তারা।
চলতি অর্থবছরে আমদানি–রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ভ্যাটের লক্ষ্য বাড়ানো হয়েছে ২০ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা এবং আয়করে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি।




Comments