প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী যাবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। প্রথম দিকে তিনি পটুয়াখালী যেতে পারেন। আগামী বৃহস্পতিবার তিনি পটুয়াখালীর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে পারেন।
বাঁধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বিতর্কে জড়াতে চাই না। এটা শুধু আমাদের সরকার নয়। আমাদের আগেও অনেক সরকার ছিল। কিছু কাজে যদি অবহেলা থাকে, দুর্নীতি হয়, আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিব। তবে এমন জলোচ্ছ্বাসে সব বাঁধ টিকে থাকবে, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না কেউ। ক্লাইমেট চেঞ্জের কারণে ঝড়ের মাত্রাও বাড়ছে।’
সেমাবার ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া অনুকূলে আসলেই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
রোববার রাত আটটার দিকে উপকূলে আছড়ে পরার ব্যাপক তাণ্ডব চালাতে শুরু করে রেমাল। আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে রূপ নিলেও, প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অবস্থান করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালায়। রেমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিরিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিক হিসাব সেরে ফেলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দেড় লাখের বেশি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৩৭ লাখ মানুষ। আর কেড়ে নিয়েছে দশটি প্রাণ।
প্রবল জোয়ারের তোড়ে বহু জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ উপকূলের বহু এলাকা। জলোচ্ছ্বাসের ১০ থেকে ১২ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন। জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সেখানে। ভেসে গেছে উপকূলের বহু মাছের ঘের, প্লাবিত হওয়া উপকূলের নিম্নাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে লবণাক্ত পানি।
১৫ বছর আগে বাংলাদেশের ভূমিতে ঘূর্ণিঝড় আইলা যে প্রলয় চালিয়েছিলো, রেমালের দীর্ঘসময় ধরে চালানো তাণ্ডবেও একই রকমের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে সরকারের সংশ্লিষ্টরা কর্মকর্তারা মনে করছেন।
Comments