কুষ্টিয়া সদরের একটি মসজিদে ইসলামী বক্তা আমীর হামজাকে রাজনৈতিক কথাবার্তা বলতে নিষেধ করে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন স্থানীয় বিএনপির নেতা শাজাহান আলী হান্নান। শনিবার উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বরিয়া জামে মসজিদে আসর নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।
হান্নান ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও একই সঙ্গে মসজিদ কমিটিরও সভাপতির দায়িত্বে আছেন। ঘটনার বিষয়ে আজ রোববার তিনি বলেন, ‘আসর নামাজ শেষে আমীর হামজা বক্তৃতা শুরু করেন। আমি রাজনৈতিক কথাবার্তা বাদ দিয়ে ইসলামিক আলোচনা করতে বলি। এ সময় লোকজন আমার দিকে তেড়ে আসেন। ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেন।’ তিনি বলেন, ‘মসজিদের ভেতরে স্থানীয় কয়েকজন ছাড়া সবাই অপরিচিত, তারা জামায়াতের লোকজন। তবে পরে এ ঘটনার জন্য আমীর হামজা আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আমীর হামজাকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। কোনো পদে না থাকলেও তিনি দলটির ওলামা বিভাগে কাজ করেন বলে জানা গেছে।
বরিয়া মসজিদের এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমীর হামজা বক্তব্য শুরু করেন। বিএনপি নেতা শাজাহান আলী হান্নান দাঁড়িয়ে আমীর হামজাকে কিছু বলার অনুমতি চান। এ সময় হান্নানকে বলতে শোনা যায় ‘হুজুর ধর্মীয় আলোচনা যত পারেন করেন। কিন্তু রাজনৈতিক কোনো আলোচনা করবেন না।’
এর পর মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন হান্নানের দিকে তেড়ে যান এবং ধাক্কাতে ধাক্কাতে তাঁকে মসজিদ থেকে বের করে দেন। অবশ্য কয়েকজন মুসল্লিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতেও দেখা যায় ভিডিওতে।
এ বিষয়ে আমীর হামজা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গণসংযোগ করছিলাম। এরই অংশ হিসেবে বরিয়া জামে মসজিদে আসর নামাজ পড়ার পর ইমাম সাহেব সালাম দিতে বললেন। এক থেকে দেড় মিনিটের মাথায় উনি (শাজাহান আলী হান্নান) সামনে থেকে উঠে বলা শুরু করলেন, “রাজনৈতিক কোনো কথা বইলেন না”। আমি তো বক্তৃতা শুরুই করিনি। এরপর সাত-আটজন তাঁকে নিষেধ করতে গেলে হট্টগোল হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা করে আমি চলে আসি।’




Comments