Image description

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা এবং বিদ্যমান আইন বলছে, তিনি চাইলে লন্ডনে বসেই ভোটার হতে পারবেন এবং নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে তারেক রহমানকে আগামী ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটার হতে হবে এবং মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটার তালিকা বিধিমালা ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী তারেক রহমানের ভোটার বা প্রার্থী হতে আইনগত কোনো বড় বাধা নেই।

বিদেশে বসে ভোটার হওয়া: ভোটার তালিকা বিধিমালার ১১ বিধির উপবিধি (১০) অনুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনে বা সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ফরম-২ পূরণ করে ভোটার হতে পারেন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

প্রার্থী হওয়ার জন্য সশরীরে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়। প্রতিনিধি বা প্রস্তাবকের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যায়। এমনকি ডাকযোগে বা বিদেশ থেকে স্বাক্ষর করিয়েও মনোনয়নপত্র দাখিল সম্ভব।

সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিক এবং ২৫ বছর বয়স হলে যে কেউ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। তবে বিদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করলে বা আদালতের রায়ে ‘অপ্রকৃতিস্থ’ বা নির্দিষ্ট কিছু আইনে দণ্ডিত হলে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। ইসি কর্মকর্তারা জানান, তারেক রহমান যদি যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করে থাকেন এবং আইনি শর্ত পূরণ করেন, তবে তার অংশগ্রহণে বাধা নেই।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তফশিল ঘোষণার পরও কমিশন চাইলে কাউকে ভোটার তালিকাভুক্ত করতে পারে। ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোটার হয়ে তিনি দেশের যেকোনো আসন থেকে প্রার্থী হতে পারবেন।’

আইনি সুযোগ থাকলেও বিএনপি নেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, ‘তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন এবং দেশেই ভোটার হবেন। এ নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরি হবে না।’

নির্বাচনী সময়সূচি:

মনোনয়নপত্র দাখিল: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।

বাছাই: ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২৬।

প্রার্থিতা প্রত্যাহার: ২০ জানুয়ারি ২০২৬।

ভোট গ্রহণ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬।