Image description

কক্সবাজার শহরের হিলটপ সার্কিট হাউস সড়কে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান।

কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট তাওহীদুল আনোয়ার বিষয়টি নিয়ে জানান, যেহেতু ঘটনাটি একজন বিদেশি নাগরিককে নিয়ে ঘটেছে তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে। তবুও ঘটনার সাথে সাথেই আসামি গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে অতিস্বল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিয়ে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। এবার আদালতে বিচার কাজ শুরুর পালা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ইলিয়াস খান জানান, সোমবার (১০ মার্চ) সকালে সার্কিট হাউস এলাকায় মার্কিন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনার ৬ ঘণ্টা পর যুবক তারেকুল ইসলাম ওরফে ছুইল্লা তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। পরের দিন মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আসামি তারেকুলকে আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্টেটে কাছে স্বীকারোক্তি দেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক আজিজুর রহমান মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসাবে তদন্তকাজ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ মামলার বাদী মার্কিন নারী এলিজাবেথ হেলটন কিম্মেল ও সাথে থাকা নেপালী নারীর সাক্ষাৎসহ আরো ৫ স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বুধবারই কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তদন্তকারি কর্মকর্তা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পুলিশ জানায়, ১০ মার্চ সকাল সোয়া আটটার দিকে শহরের হিলটপ সার্কিট হাউস সড়কে হাঁটার সময় মার্কিন নারীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন তারিকুল ইসলাম।

এ সময় হইচই-চিৎকার শুরু হলে তারিকুল পালিয়ে যান। ওই দিন মার্কিন নারী বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নিযার্তনে আইনে মামলা করেন। মার্কিন নারীর স্বামী ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে জাতিসংঘের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। সেই সুবাদে শহরের একটি ভাড়াবাসায় স্বামীর সঙ্গে থাকেন ওই নারী।