
পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে রমজান মাসে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। শহরের প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি, সর্বত্রই অসহনীয় যানজটে নাকাল শহরবাসী। ইফতারের আগমুহূর্তে এই ভোগান্তি যেন চরমে পৌঁছায়। ফুটপাত দখল, অপরিকল্পিত পার্কিং আর ট্রাফিক অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ শহরবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কেই দীর্ঘ যানজট লেগেই আছে। দিন পেরিয়ে রাত, যানজটের এই দুঃসহ যন্ত্রণা যেন পিছু ছাড়ছে না শহরবাসীর। ফুটপাত দখল করে ভাসমান ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণ। ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কও তাঁদের দখলে।
এদিকে রমজানের ইফতার বাজারে বেড়েছে যানবাহনের চাপ, সেই সাথে বিপণিবিতানগুলোর সামনে অপরিকল্পিত পার্কিং, ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের অবৈধ পার্কিং- সব মিলিয়ে যানজট এখন অসহনীয় পর্যায়ে। শহরের মৌলভীবাজার রোড, স্টেশন রোড, কলেজ রোড, নতুনবাজার, পুরানবাজার, গদারবাজার, বাসস্ট্যান্ড, ভানুগাছ রোড, সিন্দুরখাঁনের রোড পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে যানজট এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রবি উদ্দিন জানান, অবৈধ পার্কিং, ফুটপাত দখল আর লাইসেন্সবিহীন টমটমের দৌরাত্ম্যই যানজটের মূল কারণ। পর্যটন শহরে অবৈধ টমটম আর ব্যাটারিচালিত রিকশার দাপটে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া, ব্যাটারিচালিত রিকশা পেছনে খরচ হচ্ছে জরুরি বিদ্যুৎ। কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। আমরা আশা করি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই দুর্ভোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে।
পথচারী ইমরান বলেন, ফুটপাতজুড়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি, প্রাইভেট গাড়ির পার্কিং আর প্রধান সড়কে বড় বড় বাস পার্কিং করে যাত্রী ওঠানামার কারণেই যানজট তীব্র হচ্ছে।
তবে, শ্রীমঙ্গল থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন ভুইয়া জানান, অবৈধ টমটমের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে এবং কাগজপত্রবিহীন গাড়ি জব্দ করা হচ্ছে। যানজট নিরসনে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন অবশ্য এই যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। ৬.২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাইপাস সড়কটি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান, বাইপাস সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে শহরের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং পর্যটকদের চলাচলও সহজ হবে।
Comments