
কুমিল্লা ক্যার্ন্টমেন্ট-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের যেন বেহাল দশা, প্রতিদিন চরম দুর্ভোগে পড়ছে লাখো যাত্রী। কুমিল্লা মহাসড়কের খানাখন্দে ভরা সড়ক হয়েই যাতায়াত করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার লাখো মানুষ। দুর্ঘটনার ঝুঁকির সাথে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ বাড়ায় খানখন্দ সড়ক। মহাসড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি উঠেছে সাধারণ মানুষের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার যাত্রীদের দুভোর্গের পাশাপাশি, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মধ্যে কুমিল্লা ক্যার্ন্টমেন্ট প্রধান গেইটে অবস্থিত সড়কটির খানাখন্দ গুলো দেখার যেন কেউ নেই। ক্যার্ন্টমেন্ট সড়কটির মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী বাস যাত্রীদের মধ্যে যেন এক আতংক সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে কুমিল্লা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়ক সংস্কারে ব্যর্থ সড়ক ও জনপথ(সওজ) বিভাগ কুমিল্লা। স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময়কাল থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত কুমিল্লা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের কংশনগর ও কোম্পানিগঞ্জ সড়ক গুলোর প্রায় ৪০ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা’র লাখো লাখো মানুষ এসব খানাখন্দে ভরা মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করছে। বেহাল সড়কের বিষয়ে যাত্রীরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করলে সওজ বিভাগ কর্তৃপক্ষের সড়ক উন্নয়নের নেই যেন মাথা ব্যাথা।
কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের(নির্বাহী প্রকৌশলী) খন্দকার গোলাম মোস্তফা প্রতিবেদককে জানান, দীর্ঘ দিন ধরে টেন্ডার প্রক্রিয়া-বাজেট বন্ধ ছিল, যার ফলে মহাসড়কের যেইটুকু উন্নয়ন হওয়ার কথা ছিল তা আমাদের পক্ষে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা সওজ বিভাগ অতিশীঘ্র্রই কুমিল্লা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানের খানাখন্দ ভরাট করাসহ সড়কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কংশনগর এলাকার স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সওজ বিভাগের গাফিলতিতে সড়কের সংস্কার কাজ থেমে আছে। ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার পালানোর এক বছরের বেশি সময় হলেও সওজ এর কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবে এখনও সড়কের কাজও সম্পন্ন হয়নি।
প্রতিদিন কুমিল্লা থেকে বিভিন্ন জেলার লাখো মানুষক খানাখন্দ ও কর্দমাক্ত সড়ক দিয়ে হেঁটে ও বিভিন্ন পরিবহনে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। কখনো ভাঙা সড়কে পা পিছলে, আবার কখনো গাড়ি উল্টে গিয়ে ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত সড়ক উন্নয়নের কাজ শেষ না করা হলে আসন্ন বর্ষায় সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হবে।
Comments