Image description

জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নিউইয়র্ক সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা) শুরু হবে অধিবেশন। যেখানে তিনি দশম বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন।

এরইমধ্যে সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে তাদের নেতাকর্মীদের ম্যানহাটনের রাস্তায় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দলই তৈরি করেছে নানা ব্যঙ্গাত্মক ব্যানার ও ফেস্টুন। এতে ম্যানহাটন ও জ্যাকসন হাইটসের রাস্তাসহ আশপাশের এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি ও যুবদল। এতে স্থানীয় বিএনপি ছাড়াও প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আবার মাথাচাড়া দেওয়া শুরু করেছে, এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

এদিকে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ শুনতে জাতিসংঘের গ্যালারিতে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ছয় নেতা। প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের পাশের রাস্তাগুলোয় অবস্থান করবেন বিএনপির হাজারখানেক নেতাকর্মী।

বিএনপি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নেতাকর্মীরা নিউইয়র্কে এসে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের একজন সমাদৃত ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় আমরা গর্বিত। তাকে স্বাগত জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুক্রবার আমরা অন্তত এক হাজার লোক নিয়ে স্বাগত জানাব।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাডভাইজার কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহিন বলেন, ‘জাতিসংঘ সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অংশ নেবেন। অন্যান্য প্রদেশের নেতাকর্মীদের আমরা অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।’

যুক্তরাষ্ট্র যুবদল নেতা মাসুদ রানা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত যুবদলের নেতাকর্মীরা খুবই উৎফুল্ল। অসংখ্য নেতাকর্মী শুক্রবার কাজ বাদ দিয়ে স্বাগত সমাবেশে অংশ নেবেন। কোনো অপশক্তি দেশের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে প্রতিবাদের নামে বিশৃঙ্খলা করলে আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিহত করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ২২ সেপ্টেম্বর বিএনপি মহাসচিবের প্রটোকল ঠিক না থাকায় দেশে-বিদেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের স্বাগত সমাবেশে প্রচুর উপস্থিতি দেখিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’