Image description

টেকসই উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বর্ণাঢ্য র‍্যালি, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবন থেকে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনের পর একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধর্মীয়, আদিবাসী ও পর্যটন খাতের চাকরির ক্ষেত্রভিত্তিক পোশাক পরিধান করে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন এবং রঙ-বেরঙের বেলুন নিয়ে অংশ নেন। র‍্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, ট্রেজারার অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম জুয়েল, প্রভাষক মো. ইয়ামিন মাসুম, প্রভাষক মো. নাছির মিয়াসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম জুয়েল জানান, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে চারদিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও পূজার ছুটির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। তবে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন এবং সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘Tourism and Sustainable Transformation’। তিনি বলেন, “পর্যটন শুধু অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যম নয়, এটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনেরও অনুঘটক। একজন পর্যটক অন্তত ১০ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে, যার কারণে এই খাতকে বৈশ্বিক অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “একসময় বাংলাদেশে পর্যটন ও হসপিটালিটি খাত তেমন উন্নত ছিল না। বর্তমানে সাস্টেইনেবিলিটি এবং ডেভেলপমেন্ট কনসেপ্ট বাস্তবায়নের ফলে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে বিভাগ চালু হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ইবির ট্যুরিজম বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করে এই খাতে কাজ করবে এবং দেশের পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন ট্যুরিস্ট’ ১৯৮০ সাল থেকে এই দিবসটি ঘোষণা করে আসছে। প্রতি বছর নতুন প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আয়োজন পর্যটন খাতের টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই খাতের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে।