Image description

নীলফামারী জলঢাকায় আগাম ধান চাষ করে কৃষকেরা বেশ লাভবান হয়েছে। ধানের পর আলু তারপর অন্য ফসল আবাদ করে অধিক মুনাফা ঘরে তুলছে। উপজেলার কৈমারি, খুটামারা, কাঠালি, মীরগন্জ ইউনিয়নে প্রায় ৬ শত হেক্টর জমিতে এ আগাম ধানের চাষ হয়েছে। সাধারণত উচূ জমিতে এর ফলন ভালো হয়। এর জীবনকাল ১১০ থেকে ১১৫ দিন হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে ব্রিধান ১৭, ব্রিধান ৭৫, চায়না সহ বিভিন্ন জাতের আগাম ধান চাষ করে থাকে। 

মীরগন্জ ইউনিয়নের কালকেওট এলাকার ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান জানান " চার বিঘা জমিতে আগাম জাতের চায়না ধান লাগিয়েছিলাম আলু লাগাব বলে। ধান কাটার তিনদিন হয়ে গেল এখন জমি তৈরী করছি। বৃষ্টি না হলে সপ্তাহখানেক পরে আলু লাগাব। আমি প্রতিবছরই এই ধান আবাদ করি"। 

খুটামারা ইউনিয়নের বটতলার কৃষক জহুরুল ইসলাম বলেন "এই চায়না ধানটা বোনাস হিসাবে পাই আমার মুল উদেশ‍্য হলো আলু আবাদ করা নতুন আলু একশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৫ মন ধান হয়ে থাকে "। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিজানুর রহমান জানান "জুন জুলাই মাসে এ আগাম ধান লাগানো হয়ে থাকে এবং সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে কাটা হয়। আগাম ধান সাধারণত উচু জমিতে আবাদ হয়ে থাকে। ব্রিধান ১৭, ব্রিধান ৭৫ সহ বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়ে থাকে। কৃষকেরা আগাম আলু আবাদের জন্য আগাম জাতের ধান আবাদ করে থাকে "।