Image description

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র এবং উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও কক্সবাজারে থেমে নেই পর্যটকদের উচ্ছ্বাস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারির মধ্যেও শারদীয় দুর্গোৎসব ও টানা সরকারি ছুটির সুযোগে লাখো পর্যটকের ঢল নেমেছে দেশের প্রধান এই পর্যটন নগরীতে। ফলে সৈকত শহরজুড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজারের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টে বর্তমানে রুম সংকট দেখা দিয়েছে। সৈকতের সুগন্ধা, লাবণী, শৈবাল ও কলাতলী পয়েন্টে বৃষ্টির ফাঁকেও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, শহরে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার পর্যটকের আবাসন সুবিধা রয়েছে। তবে এবার পর্যটকের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “সব হোটেল-মোটেল আগেই বুকড হয়ে গেছে। আমরা সদস্যদের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার নির্দেশনা দিয়েছি।”

রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক ইকবাল বলেন, “কক্সবাজার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান। এখানে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন হয়। আমরা সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি। বৃষ্টিও আমাদের ভ্রমণের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে।” বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও পর্যটকদের এই উৎসাহ শহরের পর্যটন শিল্পে প্রাণ সঞ্চার করেছে।

পর্যটকদের এই স্রোত স্থানীয় ব্যবসায় নতুন প্রাণ ফিরিয়েছে। বার্মিজ মার্কেটের শুটকি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, “শুটকির চাহিদা বেশ ভালো। বিক্রিও জমজমাট হচ্ছে। আশা করছি ৩ ও ৪ অক্টোবর ব্যবসা আরও ভালো হবে।”

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন। এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের উৎসাহ আরও বেড়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, অনুষ্ঠান ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও কক্সবাজারের এই উৎসবমুখর পরিবেশ পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করছে।