Image description

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে মা মাকসুদা খাতুন (৪২) ও মেয়ে সানজিদা আক্তার ছুমকি (২৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মাকসুদার স্বামী বদিউল আলম (৬০) এবং তাদের ছেলে ইমাম হোসেন (২০)। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মৌলভী পাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াবদা রোড গেট এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বদিউল আলম তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পৌরসভার নামার বাজার আমিরাবাদ ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মেয়ের নানা-শ্বশুরের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মাকসুদা খাতুন, মেয়ে সানজিদা আক্তার ছুমকি, ছেলে ইমাম হোসেন এবং এক বছর বয়সী নাতি সাফোয়ান। জানাজা শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে তাদের বাড়ির কাছে রেললাইন পার হওয়ার সময় অটোরিকশার ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। বদিউল আলম ও তার ছেলে ইমাম হোসেন অটোরিকশা থেকে নেমে গাড়িটিকে রেললাইন থেকে সরানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। এ সময় ঢাকামুখী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসে। সিএনজির চালক গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যান। ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি প্রায় ১০০ ফুট দূরে রেললাইনের বাইরে ছিটকে পড়ে।

এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মা মাকসুদা ও মেয়ে সানজিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত বদিউল আলম ও ইমাম হোসেন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নাতি সাফোয়ানের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত মা ও মেয়েকে হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফ সিদ্দিক বলেন, “মৌলভী পাড়া এলাকায় ট্রেন-সিএনজি সংঘর্ষে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরও দুজন আহত হয়েছেন।” তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।