
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ বন্ধে গত সোমবার ২০ দফার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) হামাস এ প্রস্তাবের জবাব দিতে পারে। প্রস্তাবে তাদের সাড়া ইতিবাচক হতে পারে। তবে হামাস প্রস্তাবের কিছু ধারায় পরিবর্তন চাইবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, মধ্যস্থতাকারী আরব দেশগুলো ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে হামাসের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা চালাচ্ছে এবং হামাসের পক্ষ থেকে আজই জবাব আসতে পারে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প হামাসকে আল্টিমেটাম দেন জবাব দেওয়ার জন্য তাদের তিন থেকে চারদিন সময় দেবেন তিনি। এছাড়া প্রস্তাবে বড় কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সূত্রটি টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেছেন, হামাসের জবাব ইতিবাচক হবে। তবে প্রস্তাবের কিছু ধারায় তারা পরিবর্তন চাইবে। যেমনটি যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শেষ মূহূর্তে প্রস্তাবের ধারায় পরিবর্তন এনেছিলেন।
সূত্রটি আরও জানিয়েছেন, হামাসের পক্ষে প্রস্তাবের পরিবর্তন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার।
গত সপ্তাহে এক আরব কূটনৈতিক সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, নেতানিয়াহু শেষ মূহূর্তে ট্রাম্পকে দিয়ে প্রস্তাবে পরিবর্তন আনায় কাতার ও মিসর ক্ষুব্ধ হয়েছে।
প্রস্তাবে পরিবর্তন এনে— বিশেষ করে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি ধীরগতি একইসঙ্গে সীমিত করতে সমর্থ হয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু হামাস এটি মানতে চায় না। তাদের দাবি, জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের গাজা ছাড়তে হবে।
এছাড়া হামাসকে নিরস্ত্র করার বিষয়টির সঙ্গেও ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারকে যুক্ত করেছেন নেতানিয়াহু। ট্রাম্পের ঘোষিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার ওপর ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার নির্ভর করবে। অর্থাৎ হামাস নিজেদের নিরস্ত্র করলে ইসরায়েলিরা গাজা ছাড়বে। কিন্তু হামাস জানিয়েছে, যতদিন ইসরায়েলের দখলদারিত্ব থাকবে ততদিন তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না।
Comments