
ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া করিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানের পর লাতিন আমেরিকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ নেতারা এর সমালোচনা করেছেন এবং এটিকে 'লজ্জাজনক' এবং 'অনৈতিক' বলে বর্ণনা করেছেন।
বলিভিয়ার প্রাক্তন নেতা ইভো মোরালেস মাচাদোর তীব্র সমালোচকদের মধ্যে একজন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, 'নিজের দেশে দমন, সামরিক হস্তক্ষেপ এবং অভ্যুত্থানকে উৎসাহিত করেছেন এমন কাউকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদান কেবল অনৈতিকই নয় - এটি মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং নাগরিক জীবনের শান্তিপূর্ণ অনুশীলন লঙ্ঘনের উপায় হিসাবে সহিংসতার ব্যবহারকে উৎসাহিত করে।'
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ-ক্যানেল নোবেল কমিটির নিন্দা জানিয়ে একাধিক পোস্টের মাধ্যমে নতুন শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত মাচাদোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, '২০২৫ সালে এমন একজন ব্যক্তিকে এই পুরষ্কার দেওয়া লজ্জাজনক, যিনি তার মাতৃভূমিতে সামরিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন এবং বিগত বছরগুলোতে রাস্তায় বিক্ষোভে উৎসাহিত করেছেন যেখানে মানুষ জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল।'
কিউবার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, 'আমরা এই রাজনৈতিক কৌশলকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি, যা ভেনিজুয়েলাকে আলাদা করার এবং এর বৈধ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো মোরোসের নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা করে।'
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা মাচাদো প্রকাশ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভেনেজুয়েলায় সামরিক হস্তক্ষেপ করে মাদুরোকে উৎখাত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি নেতানিয়াহুকে 'দক্ষ' এবং 'প্রভাবশালী' বলে উল্লেখ করেন এবং তার প্রভাব কাজে লাগানোর অনুরোধ করেন।
মাচাদো ভেনেজুয়েলায় শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করার জন্য এবং হস্তক্ষেপ করার জন্য আরও বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন।
এদিকে, লাতিন আমেরিকার সব নেতার প্রতিক্রিয়া নেতিবাচক ছিল না। কেউ কেউ মাচাদোর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন।
পানামার প্রেসিডেন্ট জোসু রাউল মুলিনো পানামা বলেছেন, 'নিঃসন্দেহে এটি তাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা জনগণের পক্ষে শান্তিপূর্ণ সংগ্রামের স্বীকৃতি। একটি দুর্দান্ত বিজয়!'
গুয়াতেমালার প্রেসিডেন্ট বার্নার্ডো আরেভালো মাচাদোর প্রশংসা করে বলেন, এই পুরস্কারটি একজন বিরোধী ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার সাহসী ভূমিকার প্রতিফলন।
Comments