Image description

পটুয়াখালীর বাউফলে খাদ্য গোডাউনের সামনে এলাকার প্রায় ১ কোটি টাকার সরকারি জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতা। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, খাদ্যনিয়ন্ত্রকের উদাসীনতায় সরকারের জমি দখল হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ সালে জনস্বার্থে মদনপুরা ও কনকদিয়া ইউনিয়নে চাল, গম সংরক্ষণের জন্য সরকার মদনপুরার রাম-লক্ষণ মৌজার ১২৩ খতিয়ানের ৯০ শতাংশ জমির ওপর ইউনিয়ন খাদ্য গোডাউন নির্মাণ করে। ১৯৯৭-৯৮ সালের পর থেকে এই গোডাউনটিতে চাল, গম ওঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এতে গোডাউনটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। এক সময় কনকদিয়া খালে মাল নিয়ে কার্গো ভিড়ত। শ্রমিকরা চাল-গম ওঠানামা করত। এখন আর এই গোডাউনে চাল-গম ওঠানো-নামানো হয় না। তাই গোডাউনের চারপাশে গজিয়ে উঠেছে জঙ্গল আর গাছগাছালি। 

এই সুযোগে গোডাউনের জায়গা দখল করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ইসমাইল সর্দার। তিনি রাস্তার দক্ষিণ পাশে প্রায় ২০ শতাংশ জমি দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে দোকানঘর তুলেছেন এবং সেখানে এখন রড, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা করছেন।

এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সর্দার বলেন, "আমি কোনো সরকারি জমি দখল করিনি। আমার জায়গায় আমি দোকানঘর তুলেছি।"

এছাড়াও স্থানীয় গোলাম সারোয়ার নামের এক ব্যক্তি ১৯ শতাংশ জমি দখল করে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে গোলাম সারোয়ার বলেন, "ওই দোকান তার নয়, দোকান ইসমাইল সর্দার তুলেছেন। তার কাছ থেকে তিনি ভাড়া নিয়েছেন।"

কনকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, "আমি দেখেছি, এই গোডাউনের সামনের খালে নোঙর করা কার্গো থেকে শ্রমিকরা গান গেয়ে চাল, গম খালাস করত। আমরা ভয়েও সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করিনি। কিন্তু তা আজ দখল হয়ে যাচ্ছে। আমি সরকারকে এই দখলকৃত জায়গা উচ্ছেদের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।"

বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, "আমি অতিরিক্ত দায়িত্বে আছি কয়েক দিন হলো। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।"

পটুয়াখালী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দীন বলেন, "এটা জনস্বার্থে সরকারি গোডাউন। যে বা যারা দখলের চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"