
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে চলছে মা ইলিশ ধরার মহোৎসব। ৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা, বিক্রি ও মজুদের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জেলেরা প্রকাশ্য দিবালোকে মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকারে নামছে। এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক হিসেবে উল্লেখ করেছে উপজেলার সচেতন মহল।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল পৌনে ১০টায় সরেজমিনে মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির নিকটস্থ সেচ প্রকল্প বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় দেখা গেছে, নৌ-পুলিশের স্পিডবোট রাখার স্থানের পাশেই বেশ কয়েকটি জেলে নৌকায় জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের কাছাকাছি গিয়ে ছবি তোলা হলেও জেলেদের মধ্যে কোনো ভয় বা আপত্তির লক্ষণ দেখা যায়নি। বরং কেউ কেউ বলে ওঠেন, “কত ছবি তুলবেন তোলেন, ছবি তুইল্লা কি অইবো? আমগো সব লাইন ঘাটই গুছাইন্না আছে।”
একই সময়ে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রের কাছে মেঘনা নদীতে দুই কিশোরকে মাছ শিকারে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া দশানী ও ছটাকি এলাকায়ও মেঘনা নদীতে কয়েকটি নৌকা জাল ফেলে মাছ ধরছে। নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির স্পিডবোট রাখার স্থানের পাশে দিনের বেলায় এমন কার্যক্রম চললেও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুঠফোনে কথা বলার সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস এ ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন। তিনি জানান, নদীতে অভিযান থেকে ফেরার পথে তিনি প্রায়ই জেলেদের মাঝ নদীতে মাছ ধরতে যেতে দেখেছেন। তবে এ বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপের তথ্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে নৌ-পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর তৎপরতা প্রয়োজন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের এমন প্রকাশ্য কার্যক্রম ইলিশের প্রজনন ও সংরক্ষণে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
Comments