Image description

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ধীরগতির ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দলীয় শত রান পূরণ করতে টাইগারদের লেগেছে ৩০ ওভার। শুরুতেই দুই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়া দলকে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। তবে রানরেট বাড়ানোর ক্ষেত্রে তারা সফল হননি। ৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/৩, হৃদয় ৪৬* ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১২* রানে অপরাজিত।

শুরুতেই ধাক্কা, ৩ বলে দুই ওপেনারের বিদায়

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে রোমারিও শেফার্ডের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার সাইফ হাসান। তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৩ রান। পরের ওভারের প্রথম বলেই জাইডেন সিলসের শিকার হন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। আক্রমণাত্মক শট খেলতে গিয়ে কভার পয়েন্টে রোস্টন চেজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য, ৬ বলে ৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল একটি চার। ৮ রানে দুই উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে টাইগাররা।

শান্ত-হৃদয়ের জুটি, ভাঙলো ৭১ রানে

শুরুর ধাক্কা সামাল দিতে তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। ধীর গতিতে ব্যাট করে তারা ৯৩ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন। ১৭তম ওভারে দলীয় পঞ্চাশ ছাড়ায় বাংলাদেশ। তবে ২২.১ ওভারে খ্যারি পিয়েরের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফেরেন শান্ত। আম্পায়ার প্রাথমিকভাবে আউট দেননি, কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ নিয়ে সফল হয়। ৬৩ বলে ৩২ রানে শান্তর ইনিংস শেষ হয়, যেখানে ছিল ৩টি চার। তার বিদায়ে ৭১ রানের জুটি ভাঙে, দলীয় রান তখন ৭৯।

মাহিদুলের অভিষেক, হৃদয়ের লড়াই

শান্তর বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে মিলে তিনি ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছেন। ৩১ ওভার শেষে হৃদয় ৪৬ রানে অপরাজিত, আর মাহিদুল ১২ রানে খেলছেন। তবে ধীর গতির ব্যাটিংয়ে রানরেট এখনো উদ্বেগের কারণ।

অধিনায়কের আশাবাদ, দলের গঠন

টসের সময় অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “আমরাও ব্যাটিং করতে চেয়েছিলাম। এটা আমাদের হোম গ্রাউন্ড, আমরা এই উইকেটে আত্মবিশ্বাসী। নতুন ম্যাচ, নতুন দিন। সবাই নিজের ভূমিকা বুঝে ইতিবাচকভাবে এগোবে।” বাংলাদেশ একাদশে আজ দুই পেসার (তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান), তিন স্পিনার (মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম) এবং সাতজন ব্যাটার রয়েছেন।

বাংলাদেশের একাদশ

মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশ

ব্র্যান্ডন কিং, আলিক আথানেজ, কেসি কার্টি, শাই হোপ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), শেরফানে রাদারফোর্ড, জাস্টিন গ্রিভস, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, গুডাকেশ মোটি, খ্যারি পিয়েরে, জাইডেন সিলস।

সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও প্রত্যাশা

গত বছর থেকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। পরপর চারটি সিরিজে হারের মুখ দেখেছে তারা, ১৪ ম্যাচে মাত্র দুটি জয় নিয়ে। তবে ঘরের মাঠে তাদের রেকর্ড ভালো। ২০২৪ সালের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এছাড়া ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল টাইগাররা। এবারও ঘরের মাঠে সেই সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে মরিয়া তারা।