Image description

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীতে বালু উত্তোলনে অনিয়ম, নদীর দুই পাড়ের কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা এবং জনদুর্ভোগের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নান্নু মিয়া।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আখাউড়া পৌরশহরের বাধন কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

লিখিত বক্তব্যে নান্নু মিয়া বলেন, মোগড়া ইউনিয়নের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার বুক চিরে প্রবাহিত সরু হাওড়া নদীটিকে ঘিরে বর্তমানে বালু উত্তোলনের নামে মাটি কাটা হচ্ছে। খাস আদায়ের চিঠি ও দখলনামায় উল্লিখিত ‘বালু চর’ আসলে আংশিক মালিকানা জায়গা, যা কোনোভাবেই বালু উত্তোলনের উপযুক্ত নয়। কিন্তু ড্রেজার ব্যবহার করে মালিকানাধীন জমির মাটি সরিয়ে নেওয়ায় নদীর দুই পাড়ে বসবাসরত মানুষের কৃষিজমি ও ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ড্রেজার ব্যবহারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০১১’-এর বিধি ৩ লঙ্ঘন করে। হাইড্রোগ্রাফিক চার্ট বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই মেসার্স সিনান এন্টারপ্রাইজের নামে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে আইনের পরিপন্থী।

নান্নু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় আমাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।
তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন, “আপনারা সরজমিনে গিয়ে বাস্তবচিত্র তুলে ধরুন।”

এ সময় মোগড়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাজুল ইসলাম ও সাবেক মেম্বার শহীদ মিয়া বক্তব্য রাখেন।

অভিযোগের বিষয়ে মেসার্স সিনান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বাহাদুর হোসেন তিতাস বলেন, “আমরা কোনো অনিয়ম করিনি। সরকারি সব নিয়ম মেনেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।”