Image description

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রতারণার শিকার ৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে ওই শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।

২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলার নজরমামুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সকাল ১১ টায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা। এর অনুলিপি প্রদান করা হয় জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নজরমামুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগপত্র পেয়ে বিভিন্ন পদে যোগদান করেন মো. আইয়ুব আলী, মোছাঃ উম্মে কুলসুম, আজিনা বেগম ও মো. ওবায়দুল হক। ২০০৩/২০০৪ ইং সালে প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আজাউর রহমান শেখ তাঁদেরকে নিয়োগ ও যোগদানপত্র প্রদান করেন। যোগদানের তারিখ হতে আজ অবধি তারা চাকরি করে আসছে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে প্রধান শিক্ষক তাদের বেতন-ভাতা প্রাপ্তির ব্যবস্থা না করে নতুন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ ও যোগদান দিয়ে এমপিও ভুক্ত করান। এতে অধিকার বঞ্চিত হন ভুক্তভোগীরা। আজাউর রহমান শেখ পরবর্তীতে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান করলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পান আবু তালেব খন্দকার। তিনিও ২৩/০৪/২০২৫ ইং তারিখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিও নীতিমালার বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শূন্য পদে ভুক্তভোগীদের এমপিও ভুক্তির ব্যবস্থা না করে এনটিআরসিএ-তে চাহিদা প্রেরণ করেন। এতে আবারও অধিকার বঞ্চিত হন তারা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মচারীরা জানান, আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসীসহ মানববন্ধন করেছি। উপরোক্ত প্রতারক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিয়োগ, যোগদান প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে পুনর্বহাল করার জন্য স্মারকলিপিও প্রদান করেছি।

নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব খন্দকারের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করলে ফোনটি রিসিভ করে তিনি বাইরে আছেন এই উত্তর দেওয়া হয়।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম জানান, একটি স্মারকলিপি পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান (অতিঃ দাঃ) জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষক ও কর্মচারী যদি স্মারকলিপি প্রদান করে থাকে, তাহলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।