Image description

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় প্রায় তিন কোটি ৬০ লাখ টাকার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, বরাদ্দ অনুযায়ী বালুর পরিবর্তে ড্রেজার মেশিনে তোলা কাদা ও ফসলি জমির মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার সিন্দুরপুর–সত্যপুর–দিলপুর–কৌরশ মুন্সী বাজার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৮ কিলোমিটার। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পায় দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবুল কালামের মালিকানাধীন 'কালাম এন্টারপ্রাইজ'।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কাজের শুরু থেকেই নকশা ও স্টিমেট অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে না। রাস্তা কাটার সময় 'বক্স কাটিং' ও রোলার কমপেকশন ছাড়াই ভরাট কাজ চলছে। এমনকি কোথাও কোথাও রাস্তার প্রস্থ ১১ ফুটের বদলে ৯ ফুট রাখা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুল হক বলেন, "বালুর বদলে কাদা মাটি দিচ্ছে, এই রাস্তা টিকবে না।" জিয়া উদ্দিন মন্তব্য করেন, "রোলার ব্যবহার হয়নি, কাজ নিম্নমানের।" জালাল নামের এক স্থানীয় ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "আমাদের পুকুর ও জমির মাটি কেটে রাস্তা বানানো হচ্ছে।"

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদার ও এলজিইডি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগসাজশের কারণে কাজের সঠিক তদারকি হচ্ছে না। এই বিষয়ে ঠিকাদার আবুল কালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ফেনী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক অবশ্য জানিয়েছেন, রাস্তায় বালুর পরিবর্তে মাটির ব্যবহারের অভিযোগ তারা পেয়েছেন এবং বিষয়টি পরীক্ষা করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।

তবে স্থানীয়রা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, তদারকির অভাব ও এলজিইডির নীরবতা দুর্নীতির সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করছে। তাদের মতে, এই ভাগাভাগির সংস্কৃতি বন্ধ না হলে কোটি টাকার এই প্রকল্প অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে এবং লুটেরা শ্রেণী আরও শক্তিশালী হবে।