নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামায়াত ও বিএনপি সমর্থনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এ নিউজ লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টায়) দুই পক্ষ অভিযোগ দেবে বলে জানিয়েছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে চার জন আহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তারা— আমিনুল ইসলাম (৩৫), রানা (৩০), রোজিনা (৩৩) ও শিউলি (২৭)। অপর দিকে বিএনপি পক্ষের আহতরা হলেন- মো. ওসকুরুনি (৩৭), শামীম (২৫), সাদেক (৩০), নাদিম (২৬) ও শিপন (৩১)।
জামায়াত সমর্থক আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘ওসকুরুনি আগে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করতো। এখন বিএনপিতে যোগ দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। ঘটনার রাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় এসে আমাকে দোকানে দেখে গালাগালি করে এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আমি জামায়াতে ইসলামীকে পছন্দ করি বলেই তারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে।’
অন্যদিকে বিএনপির ওয়ার্ড সহ-সভাপতি ওসমান গনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি খোরশেদের চায়ের দোকানে চা খেতে গেলে আমিনুল ইসলাম বিএনপিকে নিয়ে কটূ মন্তব্য করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার পরিবার মিলে আমাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে আমার সহযোগীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। তাদের পরিবারের সদস্যরা চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। অটোচুরির মামলায় তাদের দুইজন এখনো জেলে আছে। সেই শত্রুতার জের ধরেই তারা আমার ওপর হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এলাকায় যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি।’
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানিনি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদ বলেন, আমি থানার বাইরে ছিলাম। পরে আমি তাদের বলেছি অভিযোগ দিতে। এ ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সংঘর্ষের পর থেকে চরকামালদী এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
Comments