মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করায় গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করায় বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে জান্নাতী আক্তার (১৬) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জান্নাতী আক্তার ওই গ্রামের আবু তালেব হাওলাদারের মেয়ে এবং টগরা দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
পারিবারিক সূত্র জানায়, সকালে জান্নাতী নিজের মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় তার বাবা মোতালেব হাওলাদার কথা বলা থেকে নিষেধ করেন এবং মা-বাবা দুজনেই তাকে বকাঝকা করেন। এতে অভিমান করে জান্নাতী ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। এসময় পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মারুফ হোসেন জানান, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক অভিমানের কারণেই জান্নাতী আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
Comments