Image description

নাটোরের লালপুরে কদিমচিলান ভূমি অফিসের সরকারি জায়গার একমাত্র রাস্তা দখল করে অনুমোদন না নিয়ে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে গত ৫ আগস্টের পর লালপুরের কদিমচিলান বাজার ও ভূমি অফিস সংলগ্ন কদিমচিলান ভূমি অফিসের সরকারি একমাত্র রাস্তার ১নং খতিয়ানের ৪০১ নং দাগে কদিমচিলান গ্রামের মজিরউদ্দিনের ছেলে সানোয়ার হোসেন (সানা) (৪৫) ৩টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছে।

একই খতিয়ানের কদিমচিলানের রান্টু (৪৫) নামের একজন, ভূমি অফিস রাস্তা সংলগ্ন (৪০১) নং দাগে ২টি রুম বিশিষ্ট টিনশেড বাড়ি নির্মাণ করেছে। ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা নিষেধ করলেও তারা শোনেননি বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সানোয়ার হোসেন (সানা) (৪৫) বলেন, "আমার জায়গায় আমি দোকান নির্মাণ করেছি।" জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। রান্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি সরকারি জায়গায় বাড়ি নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা নিজেদের দখলে থাকা জায়গায় বাড়ি করেছি।"

পার্শ্ববর্তী জমির মালিক হারুনুর রশিদ জানান, "ভূমি অফিস যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তা দখল করে সানা ও রান্টু টিনশেড বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করার পরেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি এই রাস্তা দখলমুক্ত হলে শুধু ভূমি অফিস নয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধা হবে।"

এ ব্যাপারে কদিমচিলান ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মিনহাজুল আবেদীন বলেন, "রান্টা ও সানোয়ার হোসেন (সানা) ভূমি অফিসের রাস্তা দখল করে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। উপজেলা ভূমি অফিস থেকেও রাস্তা দখলমুক্ত করার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে, নোটিশের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে তারপরও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মার্কেট নির্মাণের আগে রাস্তার জায়গা সহ সরকারি সার্ভেয়ার দ্বারা সীমানা নির্ধারণ করার পরেও কিছুই হয়নি, আমি নিষেধ করেছি, শোনেনি তারা।"

এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মেহেদী হাসান জানান, "এসিল্যান্ড এ বিষয়ে কাজ করছে, স্থাপনা সরানোর জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। যারা সরকারি ভূমি অফিসের রাস্তা দখল করেছে, তাদেরকে রাস্তা দখলমুক্ত করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পরেও যদি স্থাপনা না সরিয়ে ফেলে, ভূমি আইনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"