Image description

আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ত্যাগী নেতা জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।

দলীয় সাংগঠনিক সভায় ইতোমধ্যে একাধিকবার কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ করে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছেও এ দাবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।

সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি, দলীয় কয়েকজন নেতার ষড়যন্ত্রে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কমিটি জালাল উদ্দিন ফকিরকে বহিষ্কার করে। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বহিষ্কারের পরও তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী আন্দোলনসহ দলের সব কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তার আহ্বানে তৃণমূলের হাজারো নেতাকর্মী আজও মাঠে নামেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিমত, জালাল উদ্দিন ফকির শুধু একজন নেতা নন, তিনি আমতলী উপজেলা বিএনপির সংগঠনের প্রাণ ও ঐক্যের প্রতীক। তাই তারা দ্রুত তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. আবুল কালাম মাস্টার বলেন, তৃণমূলের কাছে জালাল ফকির একজন আদর্শবান ও ত্যাগী নেতা। তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হলে কর্মীরা আরও উৎসাহিত হবে।

হলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক লিমন হাওলাদার বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে জালাল ফকির উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। কিন্তু দলের ভেতরের কিছু ষড়যন্ত্রের কারণে অন্যায়ভাবে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

গুলিশাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ফারুক হাওলাদার (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) জানান, বহিষ্কার হয়েও তিনি দলীয় কার্যক্রম থেকে পিছিয়ে যাননি। দ্রুত তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা উচিত।

পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির উদ্দিন ফকির বলেন, আমরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে জালাল উদ্দিন ফকিরের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই।

আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ত্যাগী নেতাকে বহিষ্কার করে দলীয় কার্যক্রমে বাধা দিলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে।

উপজেলা বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ভিপি জহিরুল ইসলাম মামুন বলেন, তৃণমূলের প্রাণ জালাল উদ্দিন ফকির। ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে তিনি একাধিক মামলায় আসামি হয়েছেন, জেল খেটেছেন, পালিয়ে থেকেছেন তবু দল থেকে বিচ্যুত হননি।

বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, জালাল ফকির একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। শেখ হাসিনার দমন— পীড়নের সময়ও তিনি অটল থেকেছেন। উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম সচল রাখতে তার পুনর্বহাল প্রয়োজন।