Image description

ডা. কাজেম আলী আহমেদ-এর খুনিদের দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহীর চিকিৎসকরা শহরকে অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদকে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সম্মেলন কক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলন এবং পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধনে তারা এই হুঁশিয়ারি দেন। সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সর্বস্তরের চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা ডা. কাজেম আলীর মৃত্যুর সঙ্গে তৎকালীন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের অনুমোদনক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উৎপলসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। বক্তারা আরও বলেন, সেই সময় নির্বাচনের আগে দেশে ১৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছিল, যার প্রত্যেকটি একই কায়দায় পেশাদার খুনিদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছিল।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) রাজশাহীর নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আক্তারুল ইসলাম, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) রাজশাহীর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজানুল ইসলাম মারুফ, এনডিএফের নেতা শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাসানুজ্জামান হাসু, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (এনডিএফ) এর সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগীয় প্রধান ডা. নাজনীন জাহান আশা।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. কাজেম আলী আহমেদ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রাজশাহী শাখায় রোগী দেখতেন। ২০২৩ সালের (৩০ অক্টোবর) রাতে রোগী দেখে বাসায় ফেরার পথে নগরের বর্ণালী মোড়ে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। একটি মাইক্রোবাসে এসে খুনিরা তাকে খুন করে চলে যায়। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ডা. ফারহানা ইয়াসমিন সোমা রাজপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও রাজশাহীর প্রখ্যাত চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজেম আলী খুনের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৬ জন সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হলেও, মূল অভিযুক্ত মোস্তফাসহ আরও দুজনকে গ্রেফতারে গড়িমসি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।