কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের একাধিক উচ্ছেদ অভিযানের পরও সাচার বাজারের প্রধান সড়কটি পুনরায় ফুটপাতের টং দোকান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দখলে চলে গেছে। এতে সড়কটি এখন যানজটের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে এবং পথচারীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার পরেও এই ব্যস্ততম সড়কটি আবারও দখলমুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, সাচার বাজারের প্রধান সড়কের দুই পাশ অবৈধভাবে টং দোকান ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দখল করে রেখেছে। বাজারের পূর্ব পাশে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে থেকে সাচার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত একপাশে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সারি এবং অন্যপাশে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য নির্ধারিত স্থানও ফুটপাতের টং দোকানগুলো দখল করে নিয়েছে। এর ফলে প্রতিদিন ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং যাত্রী ও গাড়িচালকদের মধ্যে প্রায়শই কথা-কাটাকাটি হতে দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাজারে কেনাকাটা করতে এসে তাদের বিরক্তির শেষ থাকে না। প্রধান সড়কের দুই পাশ দখল করে টং দোকান বসেছে এবং এই দোকানগুলোর সামনেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। এতে গাড়ি ঠিকমতো চলাচল করতে পারছে না এবং যানজট এখানকার নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন যে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিপূর্বে দু'বার সাচার বাজারে অবৈধ স্থাপনা ও সড়কের ওপরের টং দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হলেও, কার ছত্রছায়ায় এই দোকানগুলো আবারও রাস্তার দু'পাশ দখল করে নিচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। তাদের দাবি, টং দোকানগুলো স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলো এখান থেকে সরিয়ে অন্য কোনো ফাঁকা জায়গায় স্ট্যান্ড তৈরি করা হলে সকলের জন্য ভালো হয়।
কয়েকজন যাত্রী জানান, তারা প্রায়ই এই সড়ক দিয়ে হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর যাতায়াত করেন। সাচার বাজারে ৯০০ ফুট রাস্তা পার হতে যানবাহনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লেগে যায়। তাদের আক্ষেপ, চোখের সামনে রাস্তা দখল করে ফুটপাত ও অটোরিকশা স্ট্যান্ড বানানো হচ্ছে, অথচ এটি কারও চোখে পড়ছে না।
এ বিষয়ে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত মাসে কচুয়া বাজার, সাচার বাজার ও রহিমানগর বাজারের দু'পাশে অবৈধভাবে দখল করে নেওয়া বিভিন্ন টং দোকান ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পরিষ্কার করা হয়েছে। বিশেষ করে সড়ক দিয়ে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে, সেটাই উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, সাচার বাজারের রাস্তার ওপরের টং দোকানগুলো স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ এবং সড়কের দু'পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশাগুলোর জন্য নির্দিষ্ট স্থানে স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মানুষের চলাচলে যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময় সহযোগিতা থাকবে।




Comments