দুবাই ছেড়ে আগৈলঝাড়ায় গড়া গরুর খামারে মাসে আয় ৪ লাখ টাকা!
দীর্ঘদিন দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফিরে গরুর খামার গড়ে তুলে সফল উদ্যোক্তা হয়েছেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শামীম সিকদার। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি গ্রামের বেকার যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন তিনি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খামারটি ব্যাপক আকারে বিস্তার করতে চান শামীম, যাতে আরও বেকারত্ব দূর হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর কারণে গরুর স্বাস্থ্য ভালো থাকায় জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এই খামারকে জাতীয় প্রাণিসম্পদ পদকের জন্য মনোনয়ন পাঠানো হয়েছে।
আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বাশাইল গ্রামের বাসিন্দা শামীম সিকদার। জীবিকার তাগিদে ২০০৮ সালে দুবাই পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু গ্রামের মাটির টানে এক বছরের মাথায় দেশে ফিরে আসেন। ফিরেই শুরু করেন ভাগ্য বদলের যাত্রা। অল্প সময়ের মধ্যে নিজ বাড়িতে ‘রাইয়ান ডেইরি অ্যান্ড ফ্যাটেনিং খামার’ নামে একটি সমন্বিত গরুর খামার গড়ে তোলেন। এতে নিজের সাফল্যের পাশাপাশি গ্রামের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
দুবাই ফেরত শামীম সিকদার মানবকণ্ঠকে জানান, “শখের বশে ২০১২ সালে ২০টি গাভি ও ষাঁড় দিয়ে খামার শুরু করলেও এখন এর বিস্তৃতি অনেক। বর্তমানে খামারে ২৫০টি গরু রয়েছে। খামারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পুকুরে মাছ চাষ। সমন্বিত এই খামার থেকে খরচ বাদ দিয়ে মাসে আয় হচ্ছে সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ টাকা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যাপক আকারে খামার করতে চাই, যাতে বেকারত্ব দূর হয়।”
খামারে দেশি খাবার ব্যবহার করায় গরুর রোগবালাই কম এবং গরুগুলোকে সন্তানের মতো লালন-পালন করা হয় বলে জানিয়েছেন খামারের কর্মীরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা. পলাশ সরকার মানবকণ্ঠকে বলেন, “প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর কারণে গরুর বৃদ্ধি ভালো। জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এই খামারকে জাতীয় প্রাণিসম্পদ পদকের জন্য মনোনয়ন পাঠানো হয়েছে।”
শামীম সিকদারের খামারে দেশি-বিদেশি জাতের দুই শতাধিক গাভি ও ষাঁড় রয়েছে। এক একরের দুটি পুকুরে মাছ চাষ হচ্ছে। চার একর জমিতে ঘাস চাষ করা হয়েছে। খামারে বেতনভুক্ত ১০ জন শ্রমিক কাজ করছেন।




Comments