চট্টগ্রামের আনোয়ারার চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডে (সিইউএফএল) দীর্ঘ সাড়ে ৬ মাস বন্ধ ছিল ইউরিয়া উৎপাদন। শনিবার (১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ইউরিয়া উৎপাদন শুরু হলেও ১২ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আবারও বন্ধ হয়ে গেছে হয়।
রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে উৎপাদনে গিয়েছিলাম। আজ (রোববার) যান্ত্রিক ক্রুটির কারণে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ৩ জানুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং ১১ এপ্রিল থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানায় সার উৎপাদন বন্ধ ছিল। ১৯ অক্টোবর থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়।
সিইউএফএলে দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। বর্তমানে দৈনিক ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম এই প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি বার্ষিক ৩ লাখ ১০ মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন করতে পারে সিইউএফএল।
১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিউল আজম খান জানান, কারখানাটিতে গ্যাস সরবরাহ করার কারণে কোথাও কোন ধরনের সমস্যা হয় না। বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে নেয়া হয়। সরকারই সিদ্ধান্ত নেয়, কখন কোন কারখানার উৎপাদন চালু রাখবে আবার কোন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখবে। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাহিদার উপর।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, পূর্ণমাত্রায় উৎপাদনের জন্য কারখানাটিতে দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন হয়। গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক জটিলতার কারণে গত অর্থবছরে কারখানাটিতে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদিত হয়।
কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সিইউএফএলসহ বিসিআইসির অন্যান্য কারখানা মিলে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করে, বাকি ১৬ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করতে হয়।




Comments