Image description

মৌসুমি বৃষ্টিতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। টানা বৃষ্টিতে মাঠের পর মাঠ পানিতে ডুবে থাকায় নষ্ট হচ্ছে রোপা আমন ধান। এতে হতাশায় পড়েছেন উপজেলার হাজারো কৃষক।

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সোনামুখী, চালিতাডাঙ্গা, কাজিপুর, গান্ধাইল, মাইজবাড়ী, মনসুর নগর ও খাসরাজবাড়ী ইউনিয়নের কৃষিজমি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় ধানগাছ পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এভাবে পানি থাকলে ধানগাছের গোড়ায় পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।

কৃষক জাকিরুল বলেন, “ধান পেকে গেছে, এখন কাটার সময়। কিন্তু মাঠে পানি জমে গেছে। ধান কাটা তো দূরের কথা, মাঠে ঢোকাই যাচ্ছে না।”

গান্ধাইল এলাকার কৃষক রবিন জানান, “বৃষ্টি আর জোয়ারে ফসল ডুবে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে পানি না নামলে ধানগাছ পচে যাবে, পুরো বছরের পরিশ্রম শেষ হয়ে যাবে।”

কৃষকরা জানান, ধান কাটা শুরু করার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু হঠাৎ মৌসুমি বৃষ্টিতে সব মাঠ পানির নিচে চলে গেছে। এতে সময়মতো ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

এদিকে, টানা বৃষ্টিতে গ্রামীণ সড়ক ও হাটবাজারেও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফসল পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। অনেকে বাধ্য হয়ে কাটার আগেই ক্ষেতে দাঁড়ানো ধান বিক্রির চিন্তা করছেন।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমান মৌসুমি বৃষ্টিতে প্রতিটি ইউনিয়নে রোপা আমন ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ পানি নেমে গেলে নিরূপণ করা সম্ভব হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম বলেন, “এই সময়ে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া আমনের জন্য ক্ষতিকর। আমরা মাঠ পর্যায়ে নজর রাখছি। পানি দ্রুত সরে গেলে ক্ষতি কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।”