বাড়ি থেকে কলেজের উদ্দেশে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি বরিশালের এক তরুণী। পরিবারের তার নিখোঁজের ঘটনাটিকে রহস্যজনক দাবি করে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। এদিকে নিখোঁজের ৬ দিন পেরিয়ে গেলে তরুণীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এরই মাঝে ঘটেছে আরেক কাণ্ড। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে একটি হোয়াটঅ্যাপ নম্বরে একটি খুদে বার্তা আসে। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘আমাকে খুঁইজেন না। আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি এবং ভালোই আছি।’
নিখোঁজ তরুণী পুজা দাস (২১) আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র দাসের মেয়ে এবং বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে সম্মান শ্রেণির ছাত্রী।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বরিশাল নগরীতে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন পূজা দাস। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। সম্ভাব্য জায়গাগুলোতে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নিখোঁজ পূজা দাসের ভাই রিমন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘জিডি করেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তরুণী প্রাপ্তবয়স্ক। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে একটু সন্দেহ হচ্ছে। তাছাড়া ওই তরুণীকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা শুরুর পরপরই আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি খুদে বার্তা আসে। যেখানে লেখা হয়েছে, “আমাকে খুঁইজেন না। আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি এবং ভালোই আছি।” তবে এরপর থেকেই সেই নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে মেসেজটি আদৌ সেই তরুণী পাঠিয়েছে নাকি অন্য কেউ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে আমাদের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অলিউল ইসলাম বলেন, ‘এটি অপহরণ কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। কেননা নিখোঁজের ডিজি হলেও কোনো ক্লু দিতে পারেনি তার পরিবার। এমনকি পুলিশের তদন্তে কোনো সহযোগিতাও তারা করছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেই নম্বর থেকে তদন্ত কর্মকর্তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে সেটা বন্ধ থাকায় ট্রাকিংও করা সম্ভব হচ্ছে না।’




Comments