সিংগাইরে সার মজুদ রেখে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ, বঞ্চিত প্রকৃত কৃষক
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাইডাঙ্গা বাজারের লাইসেন্স প্রাপ্ত সারের ডিলার মো. মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে সার মজুদ রাখার অভিযোগ ওঠেছে। তার ৩টি গুদামে মজুদ রাখা সার চড়া দামে বিক্রির সুনির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। সার না পেয়ে প্রকৃত কৃষকরা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
একাধিক ভুক্তভোগী কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) গোলাইডাঙ্গা বাজারে মোশারফ হোসেনের মালিকানাধীন ভাই ভাই ট্রেডার্সে উপস্থিত কৃষকদের সাথে কথা বলে সত্যতা মিলেছে।
গোলাইডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম অভিযোগ করে বলেন, আমি ৩০ বিঘা জমি আবাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এতে আমার ১৫ বস্তা ডিএপি সারের প্রয়োজন। আমি তিন দিন ঘুরে রাতের আঁধারে ১ হাজার ৪০০ টাকা ধরে আমাকে মাত্র ৬ বস্তা সার দিয়েছে। বিষয়টি আমি বাজার কমিটির সভাপতি বাদশা ভাইকে অবগত করেছি।
তিনি আরো বলেন, তাদের ৩টি গুদাম ঘরে বিপুল পরিমাণ সার মজুদ থাকার পরেও কৃষকদের দেয়া হচ্ছে না। এতে চলতি মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
সার নিতে আসা উত্তর গোলাইডাঙ্গা গ্রামের আরেক কৃষক জলিল বলেন, ইউরিয়া সার সরকার নির্ধারিত দামে নিলেও ডিএপি নিচ্ছেন কেজিপ্রতি ২৫ টাকা।
গোলাইডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি কৃষক বাদশা মিয়া বলেন, ডিলাররা সকলেই মেমো ছাড়া চড়া দামে সার বিক্রির জন্য একজোঁট হয়েছে। ৪টি গোডাউনে প্রচুর পরিমাণ সার মজুদ থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের চাহিদা মত সার দেয়া হচ্ছে না। এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে অনেক কৃষক আসছে। তিনি বলেন, আমি নিজেও রাতে মেমো ছাড়া সার সংগ্রহ করেছি।
ডিলার মোশারফ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কৃষকদের পর্যাপ্ত পরিমান সার দিতে না পারায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনছে।
ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আমার নির্দেশনা আছে মেমো ছাড়া চড়া দামে সার বিক্রি করা যাবে না। আমরা কৃষকের সঙ্গেই আছি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, এরকম অভিযোগ পেলে মোবাইল কোর্ট করে করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Comments