Image description

ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ভূঁইয়াগাঁতী বাসস্ট্যান্ড এলাকা এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গত সাত মাসে মাত্র এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন, আহত হয়েছেন আরও ২০ জনের বেশি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় কোনো রোড ডিভাইডার নেই। পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পার্শ্ব রাস্তা বন্ধ থাকায় দক্ষিণ দিক থেকে আসা যানবাহনগুলোকে মাঝরাস্তায় ঘুরতে হয়। এতে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মে থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংঘটিত আটটি বড় দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র, পশু চিকিৎসক, মোটরসাইকেল আরোহী, ইজিবাইক ও ভ্যানচালকসহ দশজন প্রাণ হারান। আহতদের মধ্যে কয়েকজন এখনও গুরুতর অবস্থায় আছেন।

ব্যবসায়ী রাশিদুল হাসান বলেন, “এ এলাকায় গাড়ি চালাতে এখন ভয় লাগে। দুই পাশের গাড়ি মুখোমুখি চলে আসে, দুর্ঘটনার ঝুঁকি সবসময় থাকে।”

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন হোসেন জানান, বারবার দাবি করা সত্ত্বেও রোড ডিভাইডার স্থাপন ও পার্শ্ব রাস্তা খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তার অভিযোগ— এ অব্যবস্থাপনার দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে। এই হত্যাকান্ডগুলো একটি পরিকল্পিত বলে দাবি করেন তিনি। 

সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ এর উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক সরফরাজ হোসাইন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে স্থায়ী ডিভাইডার স্থাপন ও বন্ধ রাস্তা পুনরায় চালুর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জায়গা হস্তান্তর পেলেই কাজ শুরু হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে পার্শ্ব রাস্তা পুনরায় চালুর জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সমন্বয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।