Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় বন্দি হওয়া অবশিষ্ট ২৫ জন বাংলাদেশি শিগগিরই মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। শুক্রবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই সুখবর দিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

ফেসবুক পোস্টে আসিফ নজরুল মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে লেখেন, ‘‘মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আমাদের প্রচেষ্টা অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখেছে। আরব আমিরাতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংহতি প্রকাশ করায় বিভিন্ন সময়ে বন্দি অবশিষ্ট ২৫ জনকে অচিরেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।’’ এ সাফল্যের জন্য তিনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আমিরাতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

এর আগে আমিরাত সরকার ১৮৮ জন বন্দি প্রবাসীকে মুক্তি দিয়েছিল, যারা ইতোমধ্যে দেশে ফিরেছেন। তবে অবশিষ্ট ২৫ জনের মুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন ছিল।

৭ আগস্ট: আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ২৫ বন্দির তালিকা হস্তান্তর করে।

২১ সেপ্টেম্বর: আইন ও প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বন্দিদের মুক্তির জন্য আমিরাতের বিচারমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন সুলতান বিন আওয়াদ আল নোয়ামির কাছে একটি অনুরোধপত্র পাঠান।

২২ সেপ্টেম্বর: আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ২৫ জনের পাসপোর্ট কপি ও ভিসা নম্বর চায়।

৩০ সেপ্টেম্বর: দূতাবাস ‘নোট ভারবাল’ আকারে সব তথ্য আমিরাত সরকারের কাছে জমা দেয়।

উল্লেখ্য, আরব আমিরাতে বিক্ষোভ সমাবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জুলাই মাসে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমর্থনে সেখানে বিক্ষোভ করায় অনেক প্রবাসীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন এবং শাস্তি মওকুফের অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই আমিরাত সরকার সাধারণ ক্ষমার প্রক্রিয়া শুরু করে।