Image description

উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জেকে বসেছে শীত। হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। ভোরের কনকনে ঠান্ডায় কাজে বের হতে হচ্ছে রিকশাচালক, দিনমজুর ও খেটে–খাওয়া শ্রমিকদের। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন ছোট বড় যানবাহন গুলো, যথেষ্ট শীতবস্ত্র না থাকায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। এতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।  

শহর ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, অনেকেই গরম কাপড়ের অভাবে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঠান্ডায় শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট তুলনামূলক বেশি। 

কুড়িগ্রামে আজ সকাল নয়টা  পর্যন্ত শীতের কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। কাজের সন্ধানে রাস্তায় নামলেও শীতের প্রকোপে আয় কমে গেছে অনেকের। বাধ্য হয়েই কম আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।

অটো রিক্সাচালক, মমিনুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে অনেক শীত পড়েছে, শীতের কারণে আমরা হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাফেরা করছি,বলার কারণে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছে, ঠান্ডার কারণে কেউ গাড়িতে উঠতে চাচ্ছে না, আমাদের আয়ও  কমে গেছে। 

দিনমজুর আলম ও আজিজুল হক জানান, আমরা দিনই দিন খায় তাই প্রতিদিনই আমাদের কাজে জন্য মাঠে আসতে হয়, আজকে প্রচুর শীত পড়ায় হাতে খুব ঠান্ডা লাগছে, ভালো করে কাজ করতে পারছি না, আমরা গরীব মানুষ হয় আমাদের তেমন কোন শীতের পোশাক নেই। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, আজ সোমবার জেলায় ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যেহেতু ডিসেম্বর চলে এসেছে তাই শীত নামা শুরু করেছে, সামনে আরো তাপমাত্রা নিচে নেমে আসবে।

তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। তাই শীত নিবারণে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র সহায়তার দাবি স্থানীয়দের।