সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় অপহরণের চার দিন পর দেওভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত শিশুর নাম তাহসিন হোসেন (৫), সে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়াগোবিন্দপুর গ্রামের মো. আলম শেখের ছেলে।
গত ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে খেলার সময় তাহসিনকে অপহরণ করা হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে একই দিন তার দাদী মোছাঃ অমা সলঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-১৭৮৩) করেন।
চার দিন পর গতকাল সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দেওভোগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পুকুরে জাল ফেলতে গিয়ে স্থানীয় জেলেরা ভাসমান অবস্থায় শিশুর লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে পরিবার লাশটি তাহসিনের বলে শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নিহতের দাদী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতা ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে।
রায়গঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, “শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। অপহরণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।”
সলঙ্গা থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।”
এদিকে অভিযোগকারীদের তালিকায় নাম থাকা নিহতের সৎ বাবা মুক্তার হোসেন দাবি করেন, “আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সঙ্গে পারিবারিক ও জমি-সংক্রান্ত বিরোধ জড়িত থাকতে পারে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।




Comments