হালুয়াঘাটে কামাক্ষা মন্দিরে হাতাহাতি; অভ্যন্তরীণ কোন্দল নাকি ষড়যন্ত্র?
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে শ্রী শ্রী কামাক্ষা মাতা মন্দির প্রাঙ্গণে গত ২২ নভেম্বর ঘটে যাওয়া হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক অপপ্রচার চলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, হালুয়াঘাট উপজেলা শাখা বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় হালুয়াঘাট প্রেস ক্লাবে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। লিখিত বক্তব্যে পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদ জানায়, শ্রী শ্রী কামাক্ষা মাতা মন্দিরের পরিচালনার পূর্ণ দায়িত্ব বর্তমান কমিটির হাতে রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দুই বছরের জন্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এটি পূজা উদযাপন পরিষদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত। মন্দিরের আয়-ব্যয়ের হিসাবও নিয়মিতভাবে পরিষদের কাছে জমা দেওয়া হয়।
কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল এই বৈধ কমিটিকে অস্বীকার করে ২২ নভেম্বর মন্দির প্রাঙ্গণে অনুমোদনহীন সভা আহ্বানের চেষ্টা করে। এতে বর্তমান কমিটির সদস্যরা বাধা দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্পষ্ট করে বলেন, “এই ঘটনা কোনোভাবেই সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি বিঘ্নিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়নি। এটি সম্পূর্ণভাবে মন্দির পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল এই ঘটনাকে বিকৃত করে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।”
তারা আরও জানান, ঘটনার পর থেকে মন্দির এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং পূজা-অর্চনা যথারীতি চলগ্ন চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতা কামনা করা হয়। একইসাথে অপপ্রচারে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ হালুয়াঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।




Comments